বর্তমানে ডেস্কটপ এক্সেসরিজ এর উচ্চ মূল্যের কারণে চাহিদা অনুযায়ী ডেস্কটপ কম্পিউটার বিল্ড করা টা কেবল কষ্টসাধ্য নয় বরং অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
গেমিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অথবা ভিডিও এডিটিং, উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, হাই পার্ফরম্যান্স নিশ্চিত করতে হলে আপনার প্রয়োজন হাই এন্ড পিসি বিল্ড। কিন্তু সমস্যা হলো লেটেস্ট জেনারেশনের আপডেট সকল পিসি সামগ্রীর মূল্যের ঊর্ধ্বগতি।
তাই, লেটেস্ট জেনারেশনের CPU এবং GPU সহ পিসি বিল্ড করার স্বপ্ন টা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বপ্নই রয়ে যায়।
স্বস্তির বিষয় হলো, আপনার বাজেট যদি Around 1 Lakh+ হয়ে থাকে তাহলে ডেস্কটপ এর বদলে ল্যাপটপ হতে পারে আপনার বাজেটের মধ্যে বেস্ট অপশন। উদাহরণস্বরুপ দেখা যাক, HP Victus 16 2022 মডেলের ল্যাপটপ টি। এতে রয়েছে,
- Intel Core i5-12500H Processor
- 8 GB DDR5-4800 MHz RAM
- 512GB PCIe NVMe TLC M.2 SSD
- NVIDIA GeForce RTX 3050 4GB DDR6
- 1″ IPS FHD (250 nits)1920 x 1080 @ 144 Hz
এছাড়াও, এ ল্যাপটপ টির সাথে আপনি পাবেন ২ বছরের ব্র্যান্ড ওয়ারেন্টি এবং এর র্যাম – SSD আপগ্রেডেবল।
এজন্যেই বর্তমানে গেমিং ল্যাপটপ গুলোর চাহিদা এবং মার্কেট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু গেমিং ল্যাপটপ গুলো ডিজাইন এবং বিল্ড করা হয় Top-notch অনলাইন MMO গেম গুলোর কথা মাথায় রেখে, তাই পার্ফরম্যান্সের বিচারে এদের উপর অনেকটা ভরসা করা যায়।
তবে শুধু পার্ফরম্যান্স দেখলেই হবে না, আপনার বাজেট এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বেস্ট ল্যাপটপ নিশ্চিত করতে হলে আরো অনেক কিছু বিবেচনা করতে হবে।
নিচে এমন ১৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে যা আপনার বাজেটের মধ্যে বেস্ট গেমিং ল্যাপটপ টি পছন্দ করতে সাহায্য করবে।
CPU/CPU Power Limit
আপনার পছন্দ গেমিং অথবা বিজনেস ক্লাস ল্যাপটপ যেটাই হোক না কেন, প্রসেসর সিলেকশন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান প্রসেসরের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিরাজ করছে Intel এবং AMD Ryzen।
প্রতিবছরই নতুন স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার সহ নতুন সিরিজের ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ CPU লঞ্চ করছে তারা। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ব্যবহারকারীদের চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ভিন্ন মডেলের প্রসেসর বাজারজাত করা হয়ে থাকে। উদাহরনস্বরুপ বলা যায়, ইন্টেলের CPU লাইনআপে G সিরিজ, H সিরিজ এমন ক্লাসিফিকেশন লক্ষ্য করা যায়। ইন্টেলের মতে, G সিরিজ প্রসেসর গুলো গ্রাফিক্সের কাজের জন্য Recommended অন্যদিকে H সিরিজ প্রসেসর গুলো High Performance বিশিষ্ট হয়ে থাকে, তাই বেশিরভাগ গেমিং ল্যাপটপ গুলো H সিরিজ প্রসেসর বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
এছাড়াও, ল্যাপটপ কেনার আগে এর CPU P Core, E Core, Thread count, cache, Max Turbo Frequency ইত্যাদি বিবেচনা করার মাধ্যমে আপনার কাজের জন্য আইডিয়াল প্রসেসর খুব সহজেই নির্ধারন করতে পারবেন।
GPU VRAM / GPU Power Limit
যেহেতু গেমিং ল্যাপটপ নিয়ে আলোচনা করছি তাই GPU প্রায়োরিটি থাকবে সবার উপরে। গেমিং ল্যাপটপ এর ব্যাপক চাহিদার মূল কারনই হলো এগুলো তে থাকা ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স ইউনিট। আপনার বাজেট বাংলাদেশী টাকায় ৯০ হাজারের মধ্যে হলেই পেয়ে যাবেন ডেডিকেটেড NVIDIA GeForce RTX 3050 সহ গেমিং ল্যাপটপ।
যদিও এটা বলা হয়ে থাকে যে, ল্যাপটপ গেমিং এর জন্য ৮ জিবি গ্রাফিক্স কার্ড সবচেয়ে কার্যকরী। তবে ‘নাই মামার চেয়ে যখন কানা মামা ভালো’ অর্থাৎ আপনার বাজেট যখন সীমিত তখন ৪/৬ জিবি গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হবে।
GPU সিলেকশনের সময় মনে রাখা দরকার আপনি কিন্তু ডেস্কটপ এর মত ল্যাপটপে GPU আপগ্রেড করতে পারবেন না। তাই কেনার সময়ই পারফেক্ট GPU সিলেক্ট করাটা জরুরী। এছাড়াও, যত আপগ্রেড মডেল GPU হবে, ল্যাপটপের হিটিং ইস্যু তত বেশি হবে। কারণ, High end GPU মানেই High FPS যা অত্যধিক পাওয়ার Consume করে থাকে, ফলে ল্যাপটপ ওভারহিট হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
এছাড়াও, আপনি যদি শুধুমাত্র গেমিং এর জন্য ল্যাপটপ কেনার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে GPU Power Limit এবং VRAM দেখে কেনা উচিত।
মডেল অনুযায়ী GPU Power Limit 35 – 150W পর্যন্ত হয়ে থাকে। GPU Power Limit যত বেশি, ল্যাপটপের গেমিং পার্ফরম্যান্স তত ভালো হয়ে থাকে। তাই আপনার ল্যাপটপ কেনার মুল উদ্দেশ্য যদি গেমিং হয়ে থাকে তাহলে High GPU Power Limit দেখে নেয়া উচিত।
Screen size/Panel Type
স্ক্রিন সাইজ এবং প্যানেল টাইপ ল্যাপটপের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সচরাচর গেমিং ল্যাপটপ গুলোর ডিসপ্লে ১৪ – ১৭ ইঞ্চির মধ্যে হয়ে থাকে।
বড় ডিসপ্লে থাকার কিছু সুবিধা রয়েছে যেমন গেমিং এবং কাজের ক্ষেত্রে Extra Large Viewing Capacity বেশি থাকে। এছাড়াও, মনিটর প্যানেল টাইপ বিবেচনা করতে গেলে LCD, IPS, OLED ইত্যাদি অপশন আসে।
এর মধ্যে OLED অপশন গুলোর প্রাইস তুলনামুলক একটু বেশি এবং IPS প্যানেল টাইপ ল্যাপটপ গুলো বাজেটের মধ্যে হয়ে থাকে। তাই ল্যাপটপ কেনার আগে আপনার পছন্দ এবং বাজেট অনুযায়ী বেস্ট ডিসপ্লে অপশন বেছে নিতে হবে।
Screen resolution / Refresh rate
ল্যাপটপ কেনার সময় আমরা বিভিন্ন ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন দেখতে পাই যেমনঃ FHD, UHD, QHD, qHD, nHD ইত্যাদি। এক একটি ডিসপ্লে টাইপ ভিন্ন রকমের স্ক্রিন রেজ্যুলেশন প্রকাশ করে, যেমনঃ
- FHD 1920 1080
- HD 1280 720
- nHD 640 360
- QHD 2560 1440
- qHD 960 540
- UHD 4K 3840 2160
- UHD 8K 7680 4320
রেজ্যুলেশনের পাশাপাশি ল্যাপটপের স্ক্রিনের ক্ষেত্রে আরেকটি বিবেচ্য বিষয় হলো রিফ্রেশ রেট। রিফ্রেশ রেট দ্বারা বোঝায় আপনার স্ক্রিন টি কত স্মুথলি মোশন ক্যাপচার করতে পারে। যেহেতু গেমিং ল্যাপটপ গুলোতে ফাস্ট মুভিং একশন থাকে তাই এ ল্যাপটপ গুলোর রিফ্রেশ রেট বেশি হয়ে থাকে।
সাধারণত, লো বাজেট ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে 60Hz স্ক্রিন অপশন দেখা যায়। তবে বর্তমানে ৩৬০Hz গেমিং ল্যাপটপ মার্কেটে এভেইলেবল রয়েছে। আপনি যদি ফুল প্রুফ গেমিং এর জন্য ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে একটু মিডিয়াম রিফ্রেশ রেট সম্পন্ন যেমনঃ ১৪০ Hz বিশিষ্ট ল্যাপটপ দেখতে পারেন। দৈনন্দিন কাজের জন্য ৬০/৯০ Hz ল্যাপটপ যথেষ্ট।
Memory (RAM) - Dual Channel Memory
ল্যাপটপ কেনার সময় অনেকেই শুধু মেমোরি সাইজ অর্থাৎ কত জিবি র্যাম রয়েছে শুধু এটুকুই বিবেচনা করে কিন্তু সেটা আপগ্রেডেবল কিনা কিংবা মেমোরি চ্যানেল কয়টি এগুলো যাচাই করে না। প্রায় সব গেমিং ল্যাপটপ গুলোতে Dual Channel Memory Support বিশিষ্ট হয়ে থাকে। যে কারণে এগুলো আপ টু 64GB পর্যন্ত আপগ্রেড করা যায়।
অন্যদিকে বিজনেস ক্লাস ল্যাপটপ গুলো On Board মেমোরী বিশিষ্ট হয়ে থাকে অর্থাৎ যেটা দেয়া থাকে তার চেয়ে বেশি আপগ্রেড করা সম্ভব না। তাই ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই দেখে নেয়া উচিত মেমোরী স্টোরেজ Upgradable কিনা।
PCI 3.0 / PCI 4.0
মেমোরী এর পাশাপাশি SSD স্টোরেজ স্পেসিফিকেশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সময়ের সাথে সাথে SSD এর বিভিন্ন Form Factor বের হয়েছে যেমনঃ SATA, M.2, PCI 3.0, PCI 4.0 ইত্যাদি। তাই SSD স্টোরেজ এর সাইজের সাথে ফর্ম ফ্যাক্টর এবং এক্সট্রা স্লট আছে কিনা যাচাই করে ল্যাপটপ কেনা উচিত।
লেটেস্ট ২০২৩ মডেলের প্রায় সব ল্যাপটপ PCIe 4.0 NVMe M.2 SSD দেখা যায়। তবে আপনার যদি বাজেট শর্ট হয়ে থাকে তাহলে PCIe 3.0 বিশিষ্ট ওল্ড মডেল ল্যাপটপ পছন্দ করতে পারেন।
Ray Tracing
বর্তমানে গেমিং ল্যাপটপের এক অবিচ্ছেদ্য ফিচার হলো Ray Tracing। NVIDIA সর্বপ্রথম তাদের জিপিউ তে এই ফিচার যুক্ত করে। মুলত Ray Tracing হলো অত্যাধুনিক রেন্ডারিং টেকনিক যা বর্তমান সময়ের এক্সট্রিম রিয়ালিস্টিক গেমিং ভিজ্যুয়ালাইজেশনে সচেয়ে বড় ভুমিকা পালন করছে।
এজন্য শুধু গেমিং ল্যাপটপেই নয় এখন PS5 এবং XBOX এও এই ফিচার দেয়া হয়।
আপনি যদি গেমিং এর জন্য ল্যাপটপ নিতে চান এবং হাই কোয়ালিটি গেমিং এক্সপেরিয়েন্স পেতে চান তাহলে অবশ্যই Ray Tracing ফিচার আছে কিনা তা দেখে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।
কিভাবে বুঝবেন আপনার ল্যাপটপ এ ফিচার টি আছে কিনা?
NVIDIA তাদের 30 সিরিজের ল্যাপটপ গুলো তে যেমন RTX 3060, RTX 3060 Ti, RTX 3070, RTX 3070 Ti, RTX 3080, RTX 3080 Ti, RTX 3090 ভ্যারিয়েন্ট গুলোতে এই Ray Tracing ফিচার দিয়েছে। এর আগের মডেল গুলোতে যা অনুপস্থিত। তাই গেমিং ল্যাপটপ কেনার আগে জিপিউ ভ্যারিয়েন্ট দেখে কেনা উচিত।
Portability
গেমিং ল্যাপটপ হোক কিংবা বিজনেস ক্লাস, ল্যাপটপ কেনার অন্যতম প্রধান কারনই হলো এটি অত্যন্ত ফ্লেক্সিবিলিটির সাথে ব্যবহার করা যায়। একদিকে ল্যাপটপ গুলো যেমন কম্প্যাক্ট বিল্ড অফার করে অন্যদিকে এর ওজন কম হওয়ায় সহজেই যে কোন স্থানে বহন করা যায়।
তবে গেমিং ল্যাপটপ এর একটি নেগেটিভ সাইড হলো, বিজনেস ক্লাস ল্যাপটপ এর তুলনায় এগুলো একটু ভারী হয়ে থাকে। কারণ এর মধ্যে জিপিউ এবং কুলিং ফ্যান যুক্ত থাকে।
অন্যদিকে বিজনেস ক্লাস ল্যাপটপ গুলো তে ডেডিকেটেড জিপিউ না থাকায় এগুলো অপেক্ষাকৃত হালকা হয়ে থাকে।
সচরাচর গেমিং ল্যাপটপ গুলো ৪-৬ পাউন্ডের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে কিছু স্পেসিফিক গেমিং ল্যাপটপ রয়েছে যা আরো কম ওজন বিশিষ্ট হয়ে থাকে। তাই পোর্টেবিলিটির জন্য ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই এর ওজন দেখে কেনা উচিত।
MUX Switch
অনেকেই হয়তো জানেন গেমিং ল্যাপটপের এই স্পেশাল ফিচারটি সম্পর্কে, আবার অনেকেই হয়তো জানেন না। MUX Switch ফিচারটি সাধারণত গেমিং ল্যাপটপ গুলো তে দেয়া হয় কারণ এগুলো একইসাথে দুই ধরনের গ্রাফিক্স যুক্ত করে থাকে যেমনঃ ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স এবং ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স। Integrated Graphics বলতে ল্যাপটপের প্রসেসরের সাথে ইন বিল্ট যে গ্রাফিক্স দেখা যায় যেমনঃ Intel UHD Graphics, AMD Ryzen 7 5700G ইত্যাদি।
MUX Switch এর কাজ হলো, এর মাধ্যমে আপনি ল্যাপটপের মধ্যে থাকা iGPU এবং dGPU এর মধ্যে Switch করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যখন গেমিং করছেন তখন ডেডিকেটেড জিপিউ মোডে রাখতে পারবেন আবার আপনি যখন নরমাল ব্রাউজিং করছেন তখন ইন্টিগ্রেটেড জিপিউ মোডে ব্যবহার করতে পারবেন।
বর্তমানে প্রায় সব গেমিং ল্যাপটপ এর মধ্যে এই ফিচার টি দেখা যায় তবে কেনার আগে অবশ্যই দেখে চেক করে নিতে হবে।
Port
বিভিন্ন ল্যাপটপ এর পোর্ট/কানেক্টিভিটি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। কোনটায় পোর্ট কম থাকে, কোনটায় বেশি। কোনটায় USB C Port ১ টা দেয়া থাকে আবার কোনটায় থাকে ৩ টি।
তাই ল্যাপটপ কেনার আগে আপনি কি কি এক্সটার্নাল ডিভাইস কানেক্ট করতে চান ল্যাপটপের সাথে সেদিকে লক্ষ্য রেখে সঠিক কানেক্টিভিটি সম্পন্ন ডিভাইস টি নিতে হবে।
বেশিরভাগ ১৫” এবং ১৭” গেমিং ল্যাপটপ গুলো তে প্রয়োজনীয় সকল পোর্ট এবং কানেক্টিভিটি দেয়া থাকে যেমনঃ Type – A এবং Type – C পোর্ট, HDMI port এবং ৩.৫ মিলিমিটার অডিও কম্বো Jack. ১৩” এবং ১৪” ল্যাপটপ গুলো তে কানেক্টিভিটি কম দেখা যায় যেমন ১টি USB A এবং ১ টি USB C পোর্ট।
এছাড়াও কিছু উল্লেখযোগ্য ল্যাপটপ রয়েছে যেমনঃ Lenovo Legion 5 যাতে দেখা যায় Three USB Type A এবং Three USB Type – C। তার মানে টোটাল ৬ টি এক্সটার্নাল একইসাথে কানেক্ট করা যাবে এই ল্যাপটপ টি তে।
যদি আপনি ল্যাপটপ এর সাথে এক্সটার্নাল মনিটর, কন্সোল অথবা অন্য কোন ডিভাইস যুক্ত করতে চান তাহলে অবশ্যই দেখে নিবেন ল্যাপটপ টি তে কাঙ্ক্ষিত কানেক্টিভিটি আছে কিনা।
Keyboard & Touchpad
যারা শুধুমাত্র গেমিং এর জন্য ল্যাপটপ নিয়ে থাকেন তাদের জন্য বিল্ট ইন কী বোর্ড / টাচপ্যাড তেমন একটা গুরুত্বপূর্ন নয় কারণ বেশিরভাগ ল্যাপটপ গেমাররা গেমিং ম্যাকানিকাল কীবোর্ড এবং মাউস ব্যবহার করে থাকেন।
তবে গেমিং যদি আপনার মূল উদ্দেশ্য না হয়, এবং যদি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কী-বোর্ড এবং টাচ প্যাডের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। বেশিরভাগ গেমিং ল্যাপটপ এই RGB backlit keyboard দেখা যায়, এর মধ্যে কোন টি সিংগেল Backlit, RGB এবং Per key RGB ফিচার বিশিষ্ট কী বোর্ড দেখা যায়।
আপনি যদি হেভী কি বোর্ড টাস্ক যেমনঃ রাইটিং অথবা গেমিং করে থাকেন, তাহলে ল্যাপটপ এর কী বোর্ডের পরিবর্তে এক্সট্রা কী বোর্ড ব্যবহার করা উত্তম।
Battery Life
ল্যাপটপ কেনার সময় যে বিষয়টি নিয়ে কাস্টমার বেশি চিন্তিত থাকেন সেটি হলো ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকাপ। ল্যাপটপ ম্যানুফ্যাকচারিং ব্র্যান্ড গুলো প্রতিনিয়তই আপগ্রেড পার্ফরম্যান্স এবং অধিক ব্যাটারি স্ট্যান্ড বাই বিশিষ্ট ল্যাপটপ নিয়ে আসছে।
তবে গেমিং ল্যাপটপ এর ব্যাটারি ব্যাকআপ এ তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। বর্তমানে গেমিং ল্যাপটপ গুলোতে অন এভারেজ ৪-৬ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিয়ে থাকে চার্জিং ছাড়া।
যাই হোক, গেমিং ল্যাপটপ এর প্রাইস এবং মডেল অনুযায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপে তারতম্য দেখা যায়। আপনার গেমিং ল্যাপটপ টি যদি মিনিমাম ৪ ঘন্টা ব্যটারি ব্যাকআপ দিয়ে থাকে তাহলে ঠিক আছে।
এছাড়াও দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্যাটারি Life Cycle ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সেক্ষেত্রে, ব্যাটারি পরিবর্তন করে ল্যাপটপে নতুন ব্যাটারি যুক্ত করতে হয়। তাই কেনার আগে ল্যাপটপ এর ব্যাটারি কত Watt বিশিষ্ট তা যাচাই করে নেয়া উচিত। যত বেশি পাওয়ারফুল ব্যাটারি তত ভালো ব্যাকআপ।
Look & Feel/ Design
গেমিং ল্যাপটপ মানেই নজরকাড়া আউটলুক এবং এস্থেটিক বিল্ড কোয়ালিটি। মার্কেটে এভেইলেবল গেমিং ল্যাপটপ গুলো দেখলে বোঝা যায় সচরাচর বিজনেস ক্লাস ল্যাপটপ থেকে এগুলোর আউটলুক এবং ফিল একেবারেই অন্যরকম। এ জন্যেই অনেকে বিজনেস ক্লাসের পরিবর্তে গেমিং সিরিজ এর ল্যাপগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তবে যারা একটু Simplistic ডিজাইন পছন্দ করে তাদের জন্য বিজনেস ক্লাস ঠিক আছে। নিচে Top notch ডিজাইন এবং আউটলুক বিশিষ্ট কিছু গেমিং ল্যাপটপ দেখানো হলোঃ